যারা বলছে ধর্ম নাকি মানুষকে মানুষের শত্রূ করে তুলেছে । সেসব মহা জ্ঞানী ব্যক্তি দের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন । হিন্দু - মুসলিম ঐক্য করে করে যারা গলা ফাটিয়ে ফেলছে তাদের সামনে কয়েকটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে চাই ।
দেখুন কিছু তথাকথিত ধর্ম আছে যাদের মূল মন্ত্র ই হলো বিভেদ সৃষ্টি । সে সব ধর্ম মানব সেবার মন্ত্র দেয় না । সেসব ধর্মের মূল লক্ষই প্রাধান্য বিস্তার দেশ জয় জোর পূর্বক ছলে বলে কৌশলে সহজ সরল মানুষকে নিজের দলে টানা । নারী অধিকার ক্ষুন্ন করা যাদের কাছে ধর্মীয় বাণী । বহু বিবাহ করা যাদের কাছে দেব সেবা । যেসব ধর্মের ধর্মীয় পুস্তক বিভ্রান্তিকর শ্লোকে পরিপূর্ণ । যেসব ধর্মের তথাকথিত ধর্মীয় ভণ্ডামি র কোনো সংশোধন করা মানে বিশাল অপরাধ এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । যে ধর্মের বিপক্ষে কথা বলা পাপ এবং সাজা মৃত্যু দণ্ড । সেসব ধর্মের ক্ষেত্রে এটা বলতে পারেন ।
তেমনি একটি ধর্ম আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে আমার প্রিয় ভারতবর্ষে এসেছিলো । যে ধর্মের ধর্ম যাজক রা আমার প্রিয় বাংলায় থাকা সহজ সরল বেহুলা - লখিন্দর - ভানু মতি - বিজয়দেব দের মিষ্টি কথা বলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হত্যা লীলা করে ভয় লোভ দেখিয়ে নিজের পাক ধর্মে দীক্ষিত করেছিল । আজ বাঙালি জাতির ২৬ কোটির মধ্যে ১৬ কোটি সে ধর্মের লোকে পরিণত হয়েছে । আর তার ফলে কি হোলো একটা জাতি (বাঙ্গালী ) ধর্মের নাম দু টুকরো হলো । আর সে ধর্মের লোকেরা যে ভাগ পেলো তাতে তারা সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার , নারী জাতির সম্মান হরণ , সন্ত্রাসবাদী কার্য কলাপ , সংখ্যা লঘু হত্যা চালিয়ে গেল এবং চালিয়ে যাচ্ছে ।
ভারতবর্ষ তো বেশ ছিল সোনার দেশ তবে সেই বিশেষ ধর্মটির জন্য আজ ভানু-গোপাল একে ওপরের আপাত শত্রূ তে পরিণত হয়েছে । কারণ সেই বিশেষ বিদেশী ধার্মিক ভাইরাস টি গোপাল কে এখন গফুর বানিয়ে ফেলেছে হয়তো ।
তাই বুদ্ধিজীবীর দল যখন তথাকথিত মানবতার দোহাই দিয়ে ধর্ম মানুষের মধ্যে বিভেদ বাড়ায় বলবেন তখন দয়া করে বিষয় টিকে সব ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে ধরে নেবেন না । আরো অনেক কিছুই লেখা যেত তবে sickular দেশ / রাজ্যে নিজের বিপদ ডেকে আনলাম না । কারণ সেই বিশেষ ধর্মটির বিরুদ্ধে কথা বললেই জেল বা অপঘাতে মৃত্যু । তাই নেকু আর মাকুবাদীদের ভাষায় জানাই ধিক্ককার ।